মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে হাইকোর্টে নিপুণ রায় চৌধুরী
কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী। রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। তার মাথার ব্যান্ডেজ এখনো খোলা হয়নি। গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় তিনি হাসপাতাল থেকে সরাসরি হাইকোর্টে এসেছেন।
সোমবার হাইকোর্টের একটি ফৌজদারি বেঞ্চে তার আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে। জামিন শুনানি শেষে নিপুণ আবারও হাসপাতালে যাবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
গত শনিবার কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলটির ১০৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ‘অনেক’ আসামি রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করেন জিনজিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি এসএম সুমন। মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর, হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করে গুরুতর জখম, চুরি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন মাস্টার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর শাহনেওয়াজ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোকাররম হোসেন সাজ্জাদসহ ১০৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা অনেকজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুন্সি আসিকুর রহমান বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- কাইয়ুম, মাহবুব, আহসান হাবিব, কবির, সেলিম, জাকির, আসিক, নবাব আলী ও সোবহান। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশীদ বলেন, শুক্রবার সকালে বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার জিনজিরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জন সমাবেশ করে ঢাকা জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কর্মসূচি চলার এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটের আঘাতে নিপুণ রায়ের মাথা ফেটে যায়।
এছাড়াও বিএনপি কর্মীরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হন।
এমএইচডি/ওএফ