প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি : সেই বিএনপি নেতার বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে জনসভায় হত্যার হুমকিদাতা রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির বিষয়টি নজরে আনলে সোমবার (২২ মে) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালত ওই আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলেন। আদালতে বিষয়টি নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া।
হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার বিষয়টি নজরে আনেন এক আইনজীবী। এ সময় আদালত ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলেন।
গত শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে এক জনসমাবেশে আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। একদফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব।’
এই বিষয়ে শনিবার (২১ মে) বিকেলে এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৯ তারিখে হত্যার হুমকি দিয়ে আবু সাঈদ আজ ২১ তারিখেও বাইরেই আছেন, জেলে যাননি। আমি জানি না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে কতটা অবগত। আমার কাছে এই হুমকির ভিডিও আছে।
পরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ প্রকাশ্য জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবার (২২ মে) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হবে।
রাজশাহী বিএনপির ওই নেতার বক্তব্যের বিষয়ে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তার ভাষা শুনেন! ‘শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠিয়ে দিতে হবে।’ তার ধৃষ্টতা কতটুকু। আমি শুধু এ কথা বলতে চাই যে আমরা চ্যালেঞ্জ করি, আসেন মাঠে। কে, কাকে, কোথায় পাঠায় আমরা একটু দেখে নেব। আপনাদের জিহ্বা টেনে ছিঁড়ে ফেলবে মানুষ। কথাবার্তায় লাগাম ছাইড়েন না। লাগামের মধ্যে থাকেন।
এমএইচডি/ওএফ