হাইকোর্টে ফখরুল-আব্বাসের জামিন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এর ফলে তাদের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম গোলাম মোস্তফা তারা।
পরে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা আদালতে শুনানিতে বলেছি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের নাম মামলার এজাহারে নেই। এছাড়া তারা দুজনই বয়োবৃদ্ধ মানুষ। এ কারণে আদালতের কাছে মানবিক কারণে জামিন প্রার্থনা করেছি। আদালত দুইজনকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা নেই। হাইকোর্টের এই জামিন আদেশের ফলে তারা কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করছি।
এর আগে সোমবার (২ জানুয়ারি) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
গত ২১ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগেও তিনবার তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে সেখানে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।
৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে আনে ডিবি পুলিশ। (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এমএইচডি/জেডএস/জেএস