ফরিদপুরের দুই ভাইসহ ১০ জনের মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত
রাজধানীর কাফরুল থানায় করা অর্থপাচার মামলায় ফরিদপুরের দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত এবং ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ (সোমবার) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান মামলার অভিযোগপত্রটি ‘দেখিলাম’ মর্মে স্বাক্ষর করেন। এরপর বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় বদলির আদেশ দেন। মামলাটির পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রম ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে চলবে।
অভিযোগপত্রে অপর আসামিরা হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, আসিকুর রহমান ফারহান, খন্দোকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
এর আগে ৩ মার্চ ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
২০২০ সালের ২৬ জুন রাজধানীর কাফরুল থানায় অর্থপাচারের অভিযোগ বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজ। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তারা। এসি, নন–এসিসহ ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার, পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। টাকার উল্লেখযোগ্য অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন তারা। এজাহারে আরও বলা হয়, প্রথম জীবনে এ দুই ভাই রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে এক বিএনপি নেতার ফরমায়েশ খাটতেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে তেমন কিছুই ছিল না।
গত বছরের ৭ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাজ্জাদ হোসেন, তার ভাই ইমতিয়াজ হাসানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।
টিএইচ/এনএফ