দুই ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
২০১৮ সালের মার্চে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে শাহবাগ ও রমনা থানার তৎকালীন ওসিসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রায় সাড়ে চার বছর পর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে বুধবার (১২ অক্টোবর) মিলনের চাচা বি এম অলি উল্যাহ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন।
মামলা গ্রহণের বিষয় শুনানির বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।
মামলায় আসামিরা হলেন শাহবাগ থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসান, ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, এস আই সুজন কুমার রায়, সাইদুর রহমান মুন্সি, অমল কৃষ্ণ ও শাহরিয়ার রেজা।
এছাড়া দুই থানার অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রের বিবরণীতে বলা হয়, মিলন ২০১৮ সালের ৬ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য রওনা হয়। ওইদিন সকাল ১০ থেকে ১১টায় মানববন্ধন শেষ করে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলসহ ঢাকা মৎস্যভবনের কাছে পৌঁছালে বাদীর ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনসহ অপর ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন ফরাজীকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা নির্যাতন করতে করতে প্রথমে রমনা থানায় নিয়ে যায়। পরে রমনা মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা মিলন ও তার সঙ্গে থাকা আক্তার হোসেন ফরাজীকে নির্যাতন করে। এরপর শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানেও তাদের ওপর চলে বর্বরোচিত নির্যাতন।
মিলনকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে বাদী জানতে পারে ওই বছরের ৮ মার্চ তার ভাতিজাকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। তিনি ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে দেখতে পান পুলিশ হেফাজতে অবস্থায় তার ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনকে জখম অবস্থায় কোর্টে উঠানো হয়েছে। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশ আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন দিয়ে তা মঞ্জুর করে জিঞ্জাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
একই সালের ১১ মার্চ বাদী শুনতে পায়, ভিকটিম জাকির হোসেন মিলনকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আদালতে হাজির করে। সেদিন সকালে বাদী ঢাকার সি এম এম আদালতে হাজির হয়ে দেখতে পান দুইজন পুলিশ মিলনকে কোর্টে হাজির করেছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার মিলনকে মৃতপ্রায় অবস্থায় আদালতে হাজির করার পর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান। কেরাণীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এনআর/এমএ