কিশোর নিশান হত্যা : দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার মিরপুরে ভ্যানচালক কিশোর নিশানকে (১৪) গলাকেটে হত্যার মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সারোয়ার জাহান।
২০১৭ সালের ২০ মার্চ কুষ্টিয়ার দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. তৌহিদুল ইসলাম দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার স্বরূপদহ গ্রামের সন্টু শেখ (২১) ও মো. মাহাবুব ইসলাম (২২)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয় নিশান। রাতে বাড়ি না ফিরলে তাকে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা। পরদিন সকালে মিরপুর উপজেলার স্বরূপদহ ভাঙ্গা বটতলার কলাবাগান থেকে নিশানের জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৬ জুলাই নিশানের বাবা ইনামুল মণ্ডল বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশি তদন্তে গ্রেপ্তার হন আসামি সন্টু শেখ। পুলিশ নিশানের পাখিভ্যান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও দড়ি উদ্ধার করে। সন্টুর স্বীকারোক্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে অপর আসামি মাহাবুব ইসলামকে।
এরপর পুলিশ সন্টু ও মাহাবুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২০ মার্চ মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এ আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ডের রায় দেন হাইকোর্ট।
এমএইচডি/জেডএস