কর আপিলেট ট্রাইব্যুনালে ৯৩ লাখ টাকা জমা দিলেন ড. কামাল
আপিলেট ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে রাজস্ব বোর্ডে কয়েক দফায় প্রায় ৯৩ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। এর আগে হাইকোর্ট তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দাবি করা ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা ট্যাক্সের মধ্যে ১০ শতাংশ পরিশোধ করতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ড. কামালের আইনজীবী ব্যারিস্টার রমজান আলী শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আইন অনুযায়ী ৯৩ লাখ টাকা আমরা জমা দিয়েছি।
এদিকে কর ফাঁকির বিষয়ে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের রিটের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য রয়েছে।
গত ১৪ জুন কর ফাঁকির বিষয়ে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ড. কামাল হোসেন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫১ টাকা ট্যাক্স দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ড. কামাল হোসেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করে।
রাজস্ব বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের আবেদন করেন ড. কামাল হোসেন। আপিলেট ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি।
এমএইচডি/জেডএস