১৩তম ২৫০০ নিবন্ধনধারীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নির্দেশ
১৩তম নিবন্ধনধারী ২৫০০ জনকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের রায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে করা পৃথক ৯টি রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (১ জুন) বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম মনিরুজ্জামান আসাদ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মো. ফারুক হোসেন।
পরে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১৬ সালে ১৩তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়, যা তিন ধাপে তথা প্রিলি, রিটেন, ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তিন ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরে তারা এনটিআরসিএসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়াসহ মানববন্ধন করেন। তাতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়োগ না দিলে নিবন্ধনধারীদের মধ্যে ২৫০০ জন সংক্ষুদ্ধ হয়ে হাইকোর্টে কয়েকটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাদের নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে এই রায় দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে ১৩তম নিবন্ধনধারীদের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অন্য একটি রায়ের মাধ্যমে ২২০৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রিটকারী কয়েকজন হলেন- মো. ওয়ালিউল্লাহ, মো. তৌহিদুর রহমান, মো. বুলবুল আহমেদ, মোখলেছুর রহমান, মো. আনিছুর রহমান, ইসরাত শারমিন, প্রদীপ কুমার পাহলান, রহিমা খাতুন, আব্দুল জলিল, শামীমা খাতুন প্রমুখ।
গত ২১ নভেম্বর প্রেস ক্লাবে এক মানববন্ধনে নিয়োগবঞ্চিতরা বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিও শূন্যপদে নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ ২০১৬ সালে ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নিবন্ধন পরীক্ষায় তিন ধাপে প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইভা শেষে চূড়ান্তভাবে মোট ১৭ হাজার ২৫৪ জন উত্তীর্ণ হলেও এনটিআরসিএ তাদের সবাইকে নিয়োগ দেয়নি।
তারা বলেন, নিয়োগ না পেয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে একাংশ (২ হাজার ২০৭ জন) হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। তাদের রিটের বিপরীতে হাইকোর্ট ডিভিশন নিবন্ধিতদের নিয়োগের পক্ষে রায় দিলে তারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু যারা রিট করেননি তারা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের বঞ্চিত করে আমাদের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।
এমএইচডি/জেডএস