ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন- রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. মাজহারুল ইসলাম ও সোনালী ব্যাংকের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ কামরুল আলম সিদ্দিকী। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আদালতের বেন্সসহকারী (পেশকার) হেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ২০ অক্টোবর ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। মিজান ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইজি মিজানের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
২০১৯ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন ডিআইজি মিজান। কিন্তু তা নামঞ্জুর করেন আদালত। ওইদিনই শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। পরের দিন (২ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযুক্তদের হাজির করা হয়। এরপর তার পক্ষে জামিনের আবেদন করলে বিচারক নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ৪ জুলাই ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উভয় আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের (ঢাকা- ১) পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়।
টিএইচ/এমএআর/