পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে রুল হাইকোর্টের কার্যতালিকায়
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চাঞ্চল্যকর হাজার কোটি টাকা লোপাট মামলার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে জারি করা রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য রুলটি ২২ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৬ মে) পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি আদালতকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। একইসঙ্গে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আগে জারি করা রুল শুনানির আবেদন জানান।
২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রুল জারি করে আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং এক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
এদিকে গত ১৪ মে ভারতের গণমাধ্যমের খবরে পি কে হালদারের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা জানানো হয়। এ বিষয়ে সোমবার (১৬ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার পি কে হালদার সম্পর্কে দেশটির সরকার এখনও কোনো তথ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়নি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে তুলে হালদারকে রিমান্ডের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করা হয়। তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
এমএইচডি/জেডএস