ডা. সাবরিনার প্রতারণার মামলা ২৩ মের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
জেকেজি হেলথকেয়ারের ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগের মামলার বিচারকাজ ২৩ মের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে বিচারকাজ শেষ না হলে সাবরিনার জামিন বিবেচনা করতে বলেছেন আদালত।
সাবরিনার জামিন বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে ডা. সাবরিনার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. নুর উস-সাদিক।
এর আগে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেনকে জামিন দিতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সাবরিনা-আরিফুল ছাড়াও এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন— আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
২০২০ সালের ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। গত বছরের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
এই মামলার অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি ও প্রতারণার মূল অভিযুক্ত ও বাকি ছয়জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক ছিলেন। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে সাবরিনা আছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়।
২০২০ সালের ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এমএইচডি/ওএফ