বাংলাদেশের তাসনিম জারা এবার কেমব্রিজের শিক্ষক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত মুখ তরুণ চিকিৎসক তাসনিম জারা। বিশেষ করে করোনা মহামারির মধ্যে সচেতনতামূলক ভিডিও তৈরি করে আলোচনায় এসেছেন। এছাড়াও নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে পেয়েছেন তুমুল সাড়া। সম্প্রতি বাংলাদেশের এই মেয়ে যোগ দিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ক্লিনিক্যাল সুপারভাইজার (আন্ডারগ্রাজুয়েট) হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে ফেসবুকে জারা একটি পোস্ট করেন। এতে তিনি জানিয়েছেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বর্ষের মেডিকালের শিক্ষার্থীদের পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই ইংল্যান্ডে কাজ করছেন তাসনিম জারা। সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাসনিম। কাজের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘ভ্যাক্সিন লুমিনারি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
জারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করার পর স্নাতকোত্তর পড়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তার পড়ার বিষয় ছিল ‘ইভিডেন্স বেইসড মেডিসিন’।
এদিকে তাসনিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, নতুন দায়িত্ব নেওয়ার ফলে তিনি কিছুদিন ব্যস্ত থাকবেন। তাই ভিডিও করতে এবং তাকে যে প্রশ্ন করা হয়েছে সেগুলোর উত্তর দিতে তার কিছুটা সময় লাগবে।
তাসনিম জারা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘এই নতুন দায়িত্ব শুরু হওয়ায় ব্যস্ততা একটু বেশি। গত দুই মাসে খুব অল্প সংখ্যক ভিডিও তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। আপনাদের প্রশ্নগুলোরও খুব অল্প উত্তর দিতে পেরেছি। এই সময়ে ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি আগামীকে আরও বেশি ভিডিও বানাতে ও আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।'
তাসনিম নিজে বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করেছেন। সেই সব কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাতেই চিকিৎসা বিষয়ক নানা ‘কন্টেন্ট’ পোস্ট করেন। সাধারণ মানুষ যাতে বুঝতে পারেন, তাই সহজভাবে তিনি বক্তব্য রাখেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই তাকে গ্লোবাল ভ্যাকসিন কনফিডেন্স সামিটে ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে যারা টিকা প্রদানের কাজ করেন, তাদের এক মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য ওই সামিট করা হয়। তাসনিম সেই সময়ে কাজ করেছিলেন ভারত এবং বাংলাদেশে। ওপার বাংলার একমাত্র তাকেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।