নতুন চাকরিপ্রার্থীর থাকা চাই ১০ যোগ্যতা
ছাত্রজীবনে ঢিলেঢালা স্তর থেকে কর্মজীবনে প্রবেশের সময়টা মোটেও সহজ কিছু নয়। এর জন্য প্রয়োজন হয় প্রস্তুতির। যদিও বর্তমান যুগের তরুণরা অনেক বেশিই সচেতন। তারপরও কিছু জরুরি বিষয় তারা অনেক সময় ধরতে পারেন না কিংবা অবহেলা করেন। যা সফল হওয়ার পথের প্রথম বাধা। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একজন নতুন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে কমপক্ষে ১০ ধরনের যোগ্যতা বা দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। এর ফলে হাজারও চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখা সম্ভব।
তাহলে আর দেরি কেন? চলুন জেনে নিই এসব যোগ্যতার কথা-
১. দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে এগিয়ে রাখবে। কর্মজীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিত্যনতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রয়োজন পরে। তাই নিয়োগদাতা একজন প্রার্থীর মধ্যে প্রথমেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে কিনা তা পরখ করে দেখেন।
২. অনেকগুলো কাজ করতে পারা
অনেক চাকরিতে দেখা যায় একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করতে হয়। তাই মাল্টিটাস্কিং করতে পারেন এমন ব্যক্তির সন্ধানে থাকেন চাকরিদাতারা। যাদের একাধিক কাজ সর্ম্পকে ধারনা রয়েছে বা থাকবে তাদের চাকরি পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়।
৩. সমস্যা সমাধান করা
প্রতিনিয়তই আমাদের বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে কর্পোরেট চাকরিগুলোতে। ফলে প্রতিষ্ঠানের দরকার হয় যোগ্য ও দক্ষ কর্মীর। আর যদি আপনার মধ্যে সব ধরনের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকে এবং যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলার সামর্থ্য থাকে তাহলে চাকরি আপনাকেই খুঁজে নেবে।
৪. সহযোগিতা
সহযোগিতা পরায়ণ হওয়া বাঞ্জনীয়। নিয়োগকর্তারা সাধারনত একজন প্রার্থীর মধ্যে সহযোগি মনোভাব রয়েছে কিনা- তা খুঁজেন। কথায় আছে, দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। অর্থাৎ সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ও মনোভাব সম্পন্ন ব্যক্তিদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।
৫. গুছিয়ে কথা বলতে পারা
গুছিয়ে কথা বলতে পারা ব্যক্তিদের আমরা সবাই পছন্দ করি। নিয়োগকর্তারাও এর ব্যতিক্রম নন। তারাও চান প্রতিষ্ঠানে এমন কিছু লোক আসুন, যারা সুন্দর ভাবে একটি বিষয় উপস্থাপন করতে পারবেন। তাছাড়া কনফারেন্সসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। তাই একজন চাকরি প্রত্যাশির মধ্যে কথা বলার যোগ্যতা থাকতেই হবে।
৬. কাজের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা থাকা
অফিসে কাজের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রতিটি চাকরিপ্রার্থীর প্রয়োজন। অফিসের কাজের পরিবেশ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে চাকরি পাওয়ার পর কাজের গতি বাড়বে।
৭. সততা
অসদুপায় অবলম্বনকারীকে চাকরিদাতারা পছন্দ করেন না। তাই একজন চাকরিপ্রার্থীর জন্য সৎ পথ অবলম্বন করা অপরিহার্য। এটি মানুষকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে।
৮. ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা থাকা
অফিসের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এতে চাকরি পাওয়ার পর কাজ করার স্পৃহা বেড়ে যায়। ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানা থাকলে সহজেই চাকরি পাওয়া সম্ভব।
৯. নতুন কিছু করার আগ্রহ
গতানুগতিক কাজ না করে নতুন ও সৃজনশীল কাজ করার আগ্রহ চাকরি পেতে সাহায্য করে। নতুন কিছু করার আগ্রহ থাকলে চাকরিদাতারাও চাকরিপ্রার্থীকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন।
১০. ভদ্র ও মার্জিত আচরণ
ভদ্র ও মার্জিত আচরণ অনেক ক্ষেত্রেই আপনাকে সবার চেয়ে এগিয়ে রাখবে। এটা চাকরি প্রত্যাশিদের জন্যও প্রযোজ্য।
এইচএকে/আরআর