ইউক্রেনে প্রবেশ করা রুশ সেনারা শান্তিরক্ষী নয় : জাতিসংঘ
পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দু’টি রুশপন্থি অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে মস্কো। এমনকি স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে সেনা পাঠানোর নির্দেশও দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট পুতিন দাবি করেছেন, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে শান্তিরক্ষার কাজ করবে। তবে ইউক্রেনে প্রবেশ করা রুশ সেনারা শান্তিরক্ষী নয় বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দু’টি অঞ্চলে ‘শান্তিরক্ষার কাজ করার জন্য’ রাশিয়ার সেনাদের নির্দেশ দিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার এই পদক্ষেপে শান্তিরক্ষার ধারণার বিকৃতি ঘটেছে এবং এতে তিনি উদ্বিগ্ন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুতেরেস আরও বলেছেন, ‘কোনো দেশের সম্মতি ছাড়া অন্য কোনো দেশ তার ভূখণ্ডে সেনা পাঠালে, তারা নিরপেক্ষ শান্তিরক্ষী হতে পারে না। তারা মূলত শান্তিরক্ষীই নয়।’
এর আগে গত সোমবার রাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ সেনা মোতায়েনকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় দেড় লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন রেখেছে প্রতিবেশী রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দু’টি রুশপন্থি অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় অঞ্চল দু’টিতে সেনা পাঠানোরও ঘোষণা দেন তিনি। পুতিনের দাবি, রুশ সেনারা পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চল দু’টিতে ‘শান্তি রক্ষার কাজ’ করবে।
টিএম