ইয়েমেনে অপহৃত জাতিসংঘ কর্মীদের একজন বাংলাদেশি
ইয়েমেনে জাতিসংঘের যে ৫ জন কর্মকর্তা অপহরণের শিকার হয়েছেন তাদের একজন বাংলাদেশের সাবেক সেনা কর্মকর্তা এ কে এম সুফিউল আনাম। অপহরণের শিকার হওয়ার পর থেকে উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় কাটছে তার পরিবারের সদস্যদের।
সুফিউল আনামের স্ত্রী কাজী নাসরিন আনাম ঢাকায় থাকেন। তার এক ছেলে ও মেয়ে কানাডায় থাকেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের এই কর্মকর্তার দেশে আসার কথা ছিল। তার আগেই তিনি অপহরণের শিকার হন।
সুফিউল অপহরণের শিকার হয়েছেন এই তথ্য জানিয়ে তার ভাগ্নে নিয়াজ মামুন জানান, তাকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সুফিউল আনামের প্রবাসী ছেলের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তারাও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। অপহরণের শিকার সুফিউল আনামের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।
গত শনিবার ইয়েমেনে নিয়োজিত জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানান, দেশটিতে জাতিসংঘের ৫ কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে। সুফিউল ছাড়া বাকি চারজনই ইয়েমেনের নাগরিক। অপহরণের শিকার অন্যজন বিদেশি। তবে কারও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
জাতিসংঘের ইয়েমেন অফিস জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মাধ্যমে আল-কায়েদার সঙ্গে আলোচনা চলছে। আল-কায়েদা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
ইয়েমেনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবার দক্ষিণ ইয়েমেনে একটি ফিল্ড ট্রিপ করে রাজধানী সানার দিকে ফেরার সময় মাঝপথে আল-কায়েদা জঙ্গিরা তাদের অপহরণ করে। সেখান থেকে তাদের অজ্ঞাত গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার আল-কায়েদা জাতিসংঘের ইয়েমেন দফতরে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আটক জঙ্গির মুক্তিও দাবি করেছে আল-কায়েদা।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা আক্রমণ করে মানসুর হাদির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ওই বছরের মার্চ থেকে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট। এরপর থেকে চলমান সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।
সূত্র: ভিওএ
এসএস