মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে দেশটি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
‘ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার ক্রমবর্ধমান হুমকির’ কারণে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন এই নির্দেশনা জারি করে। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ‘রাশিয়ার হামলার ক্রমবর্ধমান হুমকি এবং করোনা মহামারির কারণে ইউক্রেনে এখন কেউ ভ্রমণ করবেন না। আর যারা এখন ইউক্রেনে অবস্থান করছেন তাদের অবিলম্বে বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিগত উপায়ে দেশটি ত্যাগ করা উচিত।’
এদিকে মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন খোদ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই আহ্বান জানান।
পূর্ব ইউরোপে সম্ভাব্য বড় ধরনের সংঘর্ষের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেন, ‘মার্কিন নাগরিকদের এখনই (ইউক্রেন) ত্যাগ করা উচিত। আমরা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ একটি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছি। এটি পুরোপুরি আলাদা একটি ব্যাপার এবং পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়ে যেতে পারে।’
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
এর আগে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে নিযুক্ত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের দেশটি ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইউক্রেনে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদেরও সেসময় দেশটি ছাড়ার কথা বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছিল ওয়াশিংটন।
সেসময় দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে বলে তথ্য রয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ‘অনিশ্চিত এবং পূর্বানুমানযোগ্য নয়। আর এ কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতি যেকোনো সময় খারাপ হতে পারে’।
টিএম