ফাইজার টিকার এক ডোজেই ৯০% সুরক্ষা
ইসরায়েলের টিকাদান কর্মসূচির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনা টিকার একটি ডোজই ২১ দিনের মধ্যে মহামারি কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম। খবর ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান অনলাইনের।
যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যে তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন, তা অবশ্য ইসরায়েলে হওয়া পূর্বের একটি গবেষণার বিপরীতধর্মী ফল জানাচ্ছে। ওই গবেষণার পর বলা হয়েছিল যে, এই টিকার এক ডোজ পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে পারে না।
ফাইজার আগে অবশ্য জানিয়েছিল, তাদের টিকার এক ডোজের কার্যকারিতা ৫২ শতাংশ। তবে নতুন গবেষণায় তা ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।
ইসরায়েলের টিকাদান কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক নাচম্যান অ্যাশ গত মাসে বলেছিলেন, ফাইজার টিকার এক ডোজ ‘আমরা যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে কম কার্যকর’ বলে আমাদের মনে হয়েছে এবং ফাইজার যতটা কার্যকর হবে বলেছিল এটা ছিল তার চেয়ে কম।
ফাইজার ওই গবেষণার আগে জানিয়েছিল যে, তাদের টিকার এক ডোজের কার্যকারিতা ৫২ শতাংশ। কিন্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণার যে ফল আজ প্রকাশিত হয়েছে তাতে দাবি করা হচ্ছে, ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার এক ডোজ ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।
ব্রিটিশ গবেষকরা বলছেন, তথ্য-উপাত্ত পুনরায় বিশ্লেষণ করে তারা দেখতে পেয়েছেন, প্রথম ডোজ নেওয়ার ২১ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগেই ফাইজারের টিকা উচ্চমাত্রায় সুরক্ষা দিতে সক্ষম। তবে তাদের এই গবেষণা এখনো ‘পিয়ার রিভিউ’ হয়নি।
গবেষকরা তথ্য-উপাত্ত পুনর্বিশ্লেষণ করে জানাচ্ছেন, প্রথম ডোজ নেওয়ার ২১ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগেই ফাইজারের টিকা উচ্চমাত্রায় সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
তবে প্রথম ডোজ নেওয়ার ২১ দিনের মধ্যে ওই টিকা করোনার সংক্রমণ থেকে এমন সুরক্ষা দিতে সক্ষম হলেও তারা সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেছেন, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর প্রথম আট দিনে সংক্রমণের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সম্ভবত মানুষজন কম সতর্ক ছিল।
গবেষকরা বলছেন, টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর্যন্ত কার্যকারিতা শূন্য।এরপর ২১ দিন পর্যন্ত ধীরে ধীরে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা তৈরি হয়। যার অর্থ এক ডোজের টিকাও উচ্চমাত্রায় সুরক্ষা দিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ২১ দিন সময় দিতে হবে।
ফাইজার-বায়োএনটেক ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য। সুরক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছে তারা। তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকে সমালোচনাও করছেন।
এএস