মদ্যপানের আসর বসিয়ে আইন লঙ্ঘন, তবুও পদত্যাগে ‘না’ বরিসের
করোনাভাইরাস মহামারির বিধি লঙ্ঘন করে লকডাউনে মদ্যপানের আসর বসিয়ে আইন লঙ্ঘন করলেও বিরোধীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে একই অপরাধে মন্ত্রীরা যদি সংসদকে বিভ্রান্ত করতেন তাহলে তাদের পদত্যাগ করতে হতো বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে বিরোধীদের একের পর এক প্রশ্নের মুখে এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী। ৩০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০১৯ সালে ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসেন বরিস জনসন। চলমান করোনা মহামারিতে তিনি ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিকবার মদ্যপানের আসর বসিয়েছিলেন; যা নিয়ে দেশটিতে নিজ দলের পাশাপাশি বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
ব্যাপক বিতর্কিত এই মদ্যপানের আসর নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন শিগগিরই প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বরিস জনসন পার্লামেন্টে বলেছেন, লকডাউনে মদ্যপানের পার্টির মাধ্যমে কোনও ধরনের আইনের লঙ্ঘন হয়নি।
পার্লামেন্টে বিতর্ক চলাকালীন বিরোধী লেবার দলীয় এমপি কায়ার স্টার্মার বলেন, মন্ত্রিপরিষদের বিধিতে নিজের জ্ঞাতসারে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করলে মন্ত্রীদের পদত্যাগের কথা বলা আছে। এই একই বিধি তার (বরিস জনসন) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি-না; স্টার্মার জানতে চাইলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই।
স্টার্মার পার্লামেন্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তাকে পদত্যাগ করতে হবে। আপনি কি পদত্যাগ করবেন? স্টার্মারের এই প্রশ্নের জবাবে জনসন বলেন, ‘না।’
বুধবারের এই বিতর্কে অংশ নেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য রুশনারা আলী। তিনি বলেন, হুমকি, ভয়ভীতি, ঘুষ, ব্ল্যাকমেইল, বর্ণবাদ এবং ইসলামোফোবিয়া বরিস জনসনের সরকারের বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে।
এ সময় তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি রানির কাছে পদত্যাগপত্র লিখবেন না। জবাবে বরিস জনসন বলেন, কনজারভেটিভ হচ্ছে আশা এবং সমৃদ্ধির দল। তারা বর্ণবাদ সম্পর্কে চিন্তা করে না; তবে উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আগ্রহী।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।
এসএস