হাসপাতালে ভর্তি মাহাথিরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ‘গুজব’
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ রাজধানী কুয়ালালামপুরের ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন এবং সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মাহাথিরের মেয়ে পাদুকা মেরিনা মাহাথির। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার এক বিবৃতিতে মেরিনা মাহাথির বলেছেন, আমরা পারিবারিকভাবে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বিবৃতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করায় দেশটির নাগরিকদের ধন্যবাদ জানান মেরিনা। একই সঙ্গে মাহাথিরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভুয়া খবর না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে বলে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।
মেরিনা বলেন, ‘সূত্র যাচাই-বাছাই না করে বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনও ধরনের গুজব ছড়াবেন না। মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সময়ে সময়ে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট এবং তার পরিবার বিবৃতি দেবে।’
এর আগে, শনিবার মাহাথির মোহাম্মদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র জানান, ৯৬ বছর বয়সী মাহাথির মোহাম্মদকে কুয়ালালামপুরের ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি কী ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি মুখপাত্র।
এ নিয়ে দেশটির বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। গত ৯ জানুয়ারি মাহাথির মোহাম্মদকে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
সেখানে একটি সফল অস্ত্রোপচারের পর গত সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। ওই সময় এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শরীরে ‘ইলেক্টিভ মেডিক্যাল প্রসিডিউর’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশটির ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট বলেছে, অপ্রত্যাশিত কোনও ঘটনা ছাড়াই অস্ত্রোপচারটি সফল হয়।
মাহাথির মোহাম্মদের হার্টের পুরোনো সমস্যা রয়েছে। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর হার্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় এক সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর ছাড়া পান তিনি।
২০০৩ সাল পর্যন্ত ২২ বছর মাহাথির মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ৯২ বছর বয়সে ২০১৮ সালে বিরোধী জোটকে পরাজিত করে তিনি ফের দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু দুই বছরেরও কম সময়ে তার সরকার ভেঙে যায়। মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস