পশ্চিমারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে, হুঁশিয়ারি ব্রিটেনের
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এই দুই নেতাকে সতর্ক করে বলেছেন, ব্রিটেন ও এর মিত্ররা গণতন্ত্রের জন্য স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে। কারণ স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী যেকোনো সময়ের তুলনায় ওই দেশ দু’টি বর্তমানে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস একথা বলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। ট্রাস বলেন, বৈশ্বিক যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে ব্রিটেন এবং তার মিত্রদেরকে অবশ্যই একসাথে সরব হতে হবে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।
একইসঙ্গে অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতাকে ব্যবহারের মাধ্যমে বৈশ্বিক আগ্রাসন চালানো শক্তিগুলোর বিরুদ্ধেও ব্রিটেন ও মিত্র দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক স্বৈরাচাররা এমন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যা স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আর দেখা যায়নি। তারা স্বৈরতন্ত্রকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চায়। এ কারণেই বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের স্বৈরাচার শাসকরা মস্কো ও বেইজিংয়ে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের খুঁজে পেয়েছে।’
রয়টার্স বলছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস শুক্রবার সিডনিতে তাদের অস্ট্রেলীয় সমকক্ষ দুই মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার দুটন বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। এমনকি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্রিটিশ নৌবাহিনী তাদের উপস্থিতি বাড়ালেও তেমন কোনো পরিকল্পনা থাকবে না।
পরে বেইজিংয়ের প্রভাব মোকাবিলায় এই অঞ্চলের অবকাঠামোতে অর্থায়নের জন্য একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে মন্ত্রীরা। পরে এক যৌথ বিবৃতিতে উভয় দেশের মন্ত্রীরা ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।
এর আগে নিজের বক্তব্যে ভ্লাদিমির পুতিনের তীব্র সমালোচনা করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ‘বড় ধরনের কৌশলগত ভুল করার আগেই’ ইউক্রেন থেকে সরে আসতে রাশিয়াকে পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে ক্রেমলিন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
টিএম