প্রেমিকার মাকে কিডনি দিলেন প্রেমিক, এরপরও টিকল না সম্পর্ক
ভালোবাসার জন্য কতদূর যাওয়া যেতে পারে? প্রিয় মানুষের কারণে অনেকের চরম পর্যায়ে যাওয়ার অনেক গল্প শোনা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সব গল্পে সবসময় সুখের সমাপ্তি হয় না। এই গল্পের ক্ষেত্রেও একজন প্রেমিক মুখোমুখি হয়েছেন অতুলনীয় দুর্ভাগ্যের।
যখন শুনেছিলেন প্রেমিকার মা অসুস্থ, কিডনির প্রয়োজন, তখন এক মুহূর্তও চিন্তা না করেই রাজি হয়েছিলেন নিজের কিডনি দিতে। কিন্তু এক মাসের মধ্য়েই বদলে গেল পুরো চিত্রটাই। প্রেমিকা শুধু সম্পর্কের বিচ্ছেদই করলেন না, অন্য এক যুবককেও বিয়ে করে ফেললেন। নিজের দুঃখের এই কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টিকটকে তুলে ধরতেই ভাইরাল হয়েছেন সেই প্রেমিক যুবক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর’এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, উজিয়েল মার্টিনেজ নামে মেক্সিকোর এক যুবক দাবি করেছেন, তিনি তার বান্ধবীর মাকে একটি কিডনি দিয়েছিলেন। কিন্তু এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে ছেড়ে চলে যান তার প্রেমিকা। উজিয়েলের বাড়ি মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়ায়।
ওই যুবক একাধিক ভিডিও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, কী ভাবে তিনি জীবন বাজি রেখে, একটি অঙ্গ দান করে তার সঙ্গীর মাকে বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি তখনও ভাবেননি এ ভাবে জীবন বাজি রেখে নিঃস্বার্থ একটি দানের পরেও তাকে তার বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।
উজিয়েল মার্টিনে দাবি করেছেন, ‘আমি তার (প্রেমিকা) মাকে একটি কিডনি দান করেছি, কিন্তু এরপরও সে আমাকে ছেড়ে চলে গেল এবং এক মাস পরে বিয়ে করলো।’
মেক্সিকান যুবকের এই ভিডিওটি টিকটকে ভাইরাল হয়েছে এবং এক কোটি ৪০ লাখেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। ভিডিওতে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘দুঃখিত হবেন না, তিনি একজন মহান ভদ্রলোককে হারিয়েছেন। এগিয়ে যান এবং আপনার প্রশংসা করেন এমন একজন নারীকে বেছে নিন।’
এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মার্টিনেজ জানিয়েছেন, তিনি ভাল করছেন এবং সাবেক বান্ধবীর বিরুদ্ধে তার কোনো ক্ষোভ নেই।
টিএম