সু চির বিরুদ্ধে আরও ৫ দুর্নীতির অভিযোগ
মিয়ানমারের কারাবন্দি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আরও ৫ টি দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। যদি এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রতিটির জন্য ১৫ বছর করে কারাভোগ করতে হবে সু চিকে।
আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। সব অভিযোগ সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি, তবে একটি অভিযোগে বলা হয়েছে- ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অবৈধভাবে হেলিকপ্টার ভাড়া করেছিলেন সুচি।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ইতোমধ্যে প্রায় এক ডজন মামলা করেছে মিয়ানমারের জাতীয় ক্ষমতায় আসীন জান্তা। রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রত আদালতেই বিচার চলছে সেসব মামলার। সব মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে তাকে কারাগারে কাটাতে হবে এক শতাব্দীরও বেশি সময়। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের স্বাধীনতা আন্দোলন ও তার জয়ে যার মূলভূমিকা- সেই জেনারেল অং সানের কন্যা সু চি দীর্ঘ প্রায় তিন দশক গৃহবন্দি থাকার পর ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিলেন। তারপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ভূমিধস জয় লাভ করে।
পরে ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনেও বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে তার দল; কিন্তু সামরিক বাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে। যদিও দেশটির নির্বাচন কমিশন বলেছে- কারচুপির কোনো প্রমাণ কমিশন পায়নি।
তারপর চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকার উচ্ছেদ করে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। বন্দি হন সু চি ও তার দলের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না সু চির সঙ্গে। এমনকি সু চির আইনজীবীরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ভিডিও কলের মাধ্যমে, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে।
ইতোমধ্যে সুচির বিরুদ্ধে করা একটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই মামলাটি করা হয়েছিল সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া ও করোনা বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। রায়ে সু চিকে দুই বছর কারাবাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এসএমডব্লিউ