শালি, বাপ, নানা, দারু আজব সব নামে রেলস্টেশন!
শালি, বাপ, বিবি, নানা! যেন আস্ত একটি পরিবার। না, এগুলো আসলে ভারতের একেকটি রেলস্টেশনের নাম। শুধু এই চারটিই নয়, এমন আরও অনেক আজব নামে রেলস্টেশন রয়েছে দেশটিতে। স্টেশনগুলোর এমন নাম নিয়ে ব্যাপক হাসি-ঠাট্টা হয় যাত্রীদের মধ্যে।
শুরু করা যাক ‘বিবিনগর’ দিয়ে। এই রেলস্টেশনটি তেলাঙ্গানার ভবানীগড় জেলায়। বিবির পর শালি রেলস্টেশন! রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর ডিভিশনে একটি স্টেশনের নাম এটি।
এবার আসা যাক বাপের কথায়। ‘বাপ’ স্টেশনটিও রাজস্থানে। উত্তর-পশ্চিম রেলের অন্তর্গত স্টেশনটি যোধপুরের কাছে। নামের জন্য বহু চর্চিত। ওই অঞ্চলে আছে বন্ধু এবং ঠাকুরদা নামের স্টেশনও। এদিকে মধ্যপ্রদেশের হোসাঙ্গাবাদ জেলার অন্তর্গত নাগপুর ডিভিশনের একটি রেলস্টেশনের নাম ‘সাহেলি’।
‘নানা’ কোনো স্টেশনের নাম হতে পারে সেটা হয়তো কল্পনাতেও আসবে না। কিন্তু এ নামেও স্টেশন আছে রাজস্থানে। উদয়পুরের কাছে সিরোহী পিণ্ডওয়াড়ায় নানা স্টেশন।
প্রেমিকদের নামেও স্টেশন রয়েছে। সেই স্টেশনের নাম ‘দিওয়ানা’। হারিয়ানার পানিপতে এটি অবস্থিত।
স্টেশনের তালিকায় যেমন পরিবারের সদস্যরা আছেন, বাদ পড়েনি পশুরাও। একটির নাম তো ‘সুয়ার’। এটার নাম শুনেই শুয়োরের কথা মনে আসবে নিশ্চিত। শুয়োরের থেকে নামটি নেওয়া হয়েছে কি না জানা যায় না। উত্তরপ্রদেশে বাদ নেই বিড়াল, ছাগল, মোষ নামের রেলস্টেশনও।
উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলায় ধানবাদ ডিভিশনের একটি স্টেশনের নাম ‘বিল্লি জংশন’। পঞ্জাবের জালন্ধরের কাছে একটি স্টেশনের নাম আবার ‘কালা বকরা’। তেলঙ্গানার নির্মল জেলার একটি স্টেশনের নাম আবার ভঁয়সা। বাংলায় যার অর্থ মোষ।
আবার ঝাড়খণ্ডের একটি স্টেশনের নাম দারু। মদ বা সুরার সঙ্গে যদিও এই স্টেশনের কোনো সম্পর্ক নেই। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলায় রয়েছে এই স্টেশনটি।
এমএইচএস