যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সংক্রমিতদের ৭৩ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের প্রধান ধরন হয়ে উঠেছে। দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের ৭৩ শতাংশেরও বেশি মানুষ ওমিক্রনের কারণে সংক্রমিত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ ডিসেম্বর) মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
নভেম্বরের শেষের দিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পর থেকেই অতিদ্রুত এটি বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বহু দেশে ভেঙেছে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে লকডাউনসহ ফের কঠোর বিধিনিষেধের দিকেই যেতে বাধ্য হচ্ছে একের পর এক দেশ।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দেশের সীমান্ত বন্ধ করেননি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি ওমিক্রন যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের প্রধান ধরন হয়ে ওঠার পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেমন কিছু চিন্তা করছেন না বলে সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৭৩ দশমিক ২ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। সংক্রমণের হার সবচেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলেই। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সংক্রমণের ৯০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের এই অংশগুলো থেকে হচ্ছে।
এদিকে পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দেশের করোনা পরিস্থিতি ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অবশ্য তিনদিন আগেই হোয়াইট হাউসেও ঢুকে পড়েছে করোনার সংক্রমণ। জো বাইডেনের সংস্পর্শে আসা এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আক্রান্ত ওই কর্মী আগেই সম্পূর্ণ টিকা ও বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন। অবশ্য তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না, তা এখনও জানা যায়নি। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের করোনা পরীক্ষা করা হলেও, তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
মঙ্গলবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ২৪২ জন এবং মারা গেছেন ৫২০ জন।
এছাড়া করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ৫১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮ লাখ ২৮ হাজার ৬১১ জন মারা গেছেন।
টিএম