মালয়েশিয়ায় বন্যায় মৃত ৭, বাস্তুচ্যুত ৫০ হাজারের বেশি
কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হওয়া মালয়েশিয়ায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। একই সঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় গত তিন দিনে ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে সোমবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটির বেশিরভাগ নদী উপচে পড়েছে, পানিতে ভাসছে অনেক শহর এবং গ্রাম। এছাড়া দেশটির প্রধান প্রধান সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজেদের যানবাহনে আটকা পড়েছেন।
দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, সোমবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধার করা মানুষের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে এবারের বন্যায় দেশটিতে সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় পাহাং রাজ্য। এই রাজ্যের ৩২ হাজারের মতো মানুষ বন্যায় বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
রাজধানী কুয়ালালামপুরের পাশে অবস্থিত দেশটির সবচেয়ে ধনী এবং জনবহুল রাজ্য সেলানগরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; যা একেবারে অস্বাভাবিক। কারণ দেশটিতে সাধারণ মৌসুমি বন্যার সময় তেমন কোনো প্রভাব এই রাজ্যে পড়ে না।
ফায়ার সার্ভিস এবং উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার স্থানীয় দৈনিক দ্য স্টার বলেছে, বন্যায় সেলানগরে সাতজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া এখনও অনেকে নিখোঁজ থাকায় প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকব বলেছেন, স্বাভাবিক সময়ের এক মাসের মোট বৃষ্টিপাতের সমান বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র এক দিনে। উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য জরুরি সেবা সংস্থা এবং সেনাবাহিনীর হাজার হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেশজুড়ে আরও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মালয়েশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ।
সূত্র: এএফপি।
এসএস