টিকা না নিলে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু ডেকে আনবে ওমিক্রন : বাইডেন
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত ও বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগের মধ্যেই মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু দুই সপ্তাহের মধ্যেই আগের অবস্থান থেকে সরে এলেন তিনি। ওমিক্রন নিয়ে সবাইকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ভাইরাসের নতুন এই ধরনটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এছাড়া যারা এখনও টিকা নেননি তাদের জন্য শীতকালেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি। আর তাই টিকা না নেওয়া সবাইকে দ্রুত প্রথম ডোজ নেওয়ার অনুরোধ জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। একইসঙ্গে ওমিক্রন থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ডোজ সম্পন্ন করা ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) চলমান করোনা মহামারি নিয়ে হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে জো বাইডেন একথা বলে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রন পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে বৃহস্পতিবার বাইডেন বলেন, ‘যত সময় পার হবে, আরও দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ভাইরাসের এই ধরনের বিরুদ্ধে প্রকৃত সুরক্ষা কেবল টিকা থেকেই পাওয়া যেতে পারে। যদি এখনও করোনা টিকা না নেন, তবে এই শীতকাল গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুই ডেকে আনবে।’
তিনি আরও বলেন, টিকা না নেওয়া ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের মধ্যে দ্রুতই ওমিকন ছড়িয়ে পড়বে। এতে করে হাসপাতালগুলোতে আবারও চাপ বাড়বে।
ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলছেন, তবে একটি সুখবর আছে। যারা ইতোমধ্যেই করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তারা দ্রুত বুস্টার ডোজ নিয়ে নেন। তাহলে আপনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।
গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সময় অনেকটা গা-ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছিলেন মার্কিনিরা। বাধ্যতামূলক মাস্কের বিরোধিতা করে আন্দোলনে রাস্তায়ও নেমেছিলেন হাজার হাজার মাানুষ। ফলে কয়েক মাসের মধ্যেই দেশটিতে করোনা মহামারি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে নতুন করে ফের দেখা দিয়েছে সেই আতঙ্ক।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ জন এবং মারা গেছেন ৯৭৩ জন।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ১৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৭ জন মারা গেছেন। করোনায় সংক্রমণ ও প্রাণহানিতে দেশটির অবস্থান তালিকার শীর্ষে।
টিএম