ওমিক্রনে সুরক্ষা দেবে টিকার তৃতীয় ডোজ: দাবি ফাইজার-বায়োএনটেকের
করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার তৃতীয় ডোজ সুরক্ষা দিতে পারবে বলে দাবি করেছে কোম্পানি দু’টি। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার দুই ডোজ ‘সম্ভবত’ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে যথাযথ সুরক্ষা দিতে পারবে না- শঙ্কা প্রকাশ করে বুধবার এক বিবৃতিতে কোম্পানি দু’টির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ঠেকাতে আমাদের টিকা এখনও কার্যকর। এবং যদি টিকার তৃতীয় ডোজ সবার জন্য প্রযোজ্য করা হয়, সেক্ষেত্রে এটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে পারবে।’
পাশাপাশি, বেশ কয়েকবার অভিযোজন বা মিউটিশনের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ফলে করোনাভাইরাস বা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির কয়েকটি রূপান্তরিত ধরনের আগমন ঘটেছে এবং এই ধরনগুলো মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে অনেক শক্তিশালী বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
তবে এই ধরনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ও শক্তিশালী ধরনটির নাম ওমিক্রন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর মূল করোনাভাইরাস ও তার অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনগুলোর বিরুদ্ধে মানবদেহে যে পরিমাণ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির তৈরি হয়, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সেই একই পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হবে এই টিকার তৃতীয় ডোজ নেওয়া হলে।
টিকার দুই ডোজ ও তিন ডোজ সম্পূর্ণ করা বেশ কয়েকজন ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে কোম্পানি দুটির বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানতে পেরেছেন বলে বুধাবারের বিবৃতিতে জানিয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেক। তাদের এই গবেষণা অবশ্য এখনও পিআর রিভিউয়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে টিকার দুই ডোজ যারা সম্পূর্ণ করেছেন তারাও যে এই ধরনটির সামনে খুব বিপদে আছেন- ব্যাপারটি এমন নয়। এ সম্পর্কে বিবৃতিতে কোম্পনি দু’টির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘যারা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, তারা ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি সুরক্ষিত নন- এটি সত্যি। তবে যদি তারা এই ধরনটিতে আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে তাদের উপসর্গগুলো থাকবে মৃদু।’
‘অর্থাৎ, গুরুতর অসুস্থতা বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি তাদের একেবারেই কম।’
সূত্র: এএফপি
এসএমডব্লিউ