ভারতে আরও ১৬ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ ভারতে আরও ১৬ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে। রোববার (৫ ডিসেম্বর) নতুন করে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে রাজস্থানের জয়পুরে ৯ জন এবং মহারাষ্ট্রের ৭ জন। প্রত্যেকেই করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনে আক্রান্ত।
এর মাধ্যমে ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ জনে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যে নতুন করে শনাক্ত ৭ জনের মধ্যে চার জনই বিদেশ থেকে ফিরেছেন। বাকি তিন জন ওই চার জনের ঘনিষ্ঠ। এর ফলে মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দাাঁড়াল আট জনে এবং দেশটিতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ জন।
মহারাষ্ট্রে আক্রান্তরা সকলেই পুণের বাসিন্দা বলেও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে জয়পুরে রোববার ৯ জনের শরীরে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে রাজস্থানের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর নাইজেরিয়ার লাগোস থেকে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে আসেন ৪৪ বছর বয়সী এক নারী। ওই নারীর সঙ্গে তার দুই মেয়েও সেসময় দেশটিতে আসেন। পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি জানায়, তিন জনই করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
নাইজেরিয়াফেরত ওই নারীর ৪৫ বছরের ভাই, ভাইয়ের দুই মেয়েও করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পাশাপাশি সদ্য ফিনল্যান্ড ভ্রমণ করে পুণেয় ফেরা ৪৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিও করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। ঘটনাচক্রে প্রাপ্তবয়স্ক চার জনেরই করোনা টিকার উভয় ডোজ নেওয়া ছিল। বাকি তিন জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় টিকার আওতায় আসেনি।
এর আগে রাজধানী দিল্লিতেও করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ মেলে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন রোববার জানান, ‘আক্রান্ত ওই ব্যক্তি তানজানিয়া থেকে কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে এসেছেন। তার পরই তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
এর আগে মহারাষ্ট্রের ডোম্বিবলী, গুজরাটে এক জন এবং কর্নাটকে দু’জন করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত করা হয়। গুজরাটের জামনগরে যে ব্যক্তি করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়, সম্প্রতি তিনি জিম্বাবুয়ে থেকে ভারতে ফিরেছিলেন। এছাড়া কর্নাটকে ওমিক্রনে আক্রান্ত দু’জনের বয়স যথাক্রমে ৬৬ বছর এবং ৪৬ বছর।
টিএম