সমস্যা বাম পায়ে, চিকিৎসক কাটলেন ডান পা
পায়ে সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। একপর্যায়ে একটি পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু সমস্যা যে পায়ে, সেটি কাটার পরিবর্তে চিকিৎসক কাটেন সমস্যা না থাকা ভালো পা। পরে ঘটনাটি বুঝতে পেরে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী রোগী।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত চিকিৎসককে জরিমানা করেছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রিয়ায়। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের মাঝামাঝিতে বাম পায়ের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন অস্ট্রিয়ার এক বয়স্ক নাগরিক। তবে অপারেশনের সময় ওই চিকিৎসক তার ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। চিকিৎসকের এই ভুল অপারেশনের দুই দিন পর বুঝতে পারেন ভুক্তভোগী রোগী। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
বুধবার অস্ট্রিয়ার লিনজ শহরের একটি আদালত অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৪৩ বছর বয়সী নারী ওই চিকিৎসকে আদালত ২ হাজার ৭০০ ইউরো জরিমানা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
ভুল চিকিৎসার শিকার সেই বয়স্ক রোগী আগেই অবশ্য মারা গেছেন। বুধবার তার বিধবা স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে তাকে ৫ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ টাকা।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পায়ের সমস্যা নিয়ে গত মে মাসে অস্ট্রিয়ার ফ্রেইটাড শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সমস্যা থাকা বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই তিনি সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু অপারেশনের সময় চিকিৎসক তার ডান পা কেটে ফেলেন।
অপারেশনের দু’দিন পর পায়ের ব্যান্ডেজ পরিবর্তনের সময় ভুলের বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন ওই ক্লিনিকের দাবি ছিল, দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির ফল হিসেবে এই ঘটনা ঘটেছে। এমনকি সেখানকার পরিচালক সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে ক্ষমাও প্রার্থনা করেছিলেন।
তবে এরপরও ভুক্তভোগী ওই রোগী আদালতের দ্বারস্থ হন এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। যদিও আদালতের রায়ে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আগেই মারা যান তিনি।
টিএম