কাবুলে ফের দূতাবাস সচল করছে সৌদি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাস ফের সচলের কথা জানিয়েছে রিয়াদ। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দেশটি এই ঘোষণা দেয়। তবে প্রাথমিকভাবে কাবুলে সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার শাখা চালু করা হবে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট এবং আনাদোলু এজেন্সি।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, আফগান জনগণকে কনস্যুলার সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে আফগানিস্তান ইস্যুতে বিশেষ বৈঠক ডাকতে গত সোমবার অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-র প্রতি আহ্বান জানায় সৌদি আরব। আফগান ভূখণ্ডে চলমান মানবাধিকার পরিস্থিতি ও মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনার উদ্দেশেই এই আহ্বান জানায় দেশটি।
এতে আরও জানানো হয়, আগামী ১৭ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে বৈঠকটি আয়োজনের প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান।
২০ বছর পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। অবশ্য বিশ্বের কোনো দেশই এখনও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
এর জেরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থা আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তাসহ অর্থ সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশটিতে ভয়াবহ আর্থিক ও মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রতিদিনই তা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
সৌদি আরব অবশ্য বরাবরই বলে আসছে যে, তালেবান কাবুলের ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়ার সম্মুখীন হয়েছে এবং একইসঙ্গে তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ধ্বংসের ঝুঁকিতে ফেলেছে।
অন্যদিকে জাতিসংঘও বারবার সতর্ক করেছে যে, তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে এবং প্রচণ্ড শীতের মধ্যে লাখ লাখ আফগান অনাহারের মধ্যে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারি, চলমান খাদ্য সংকট এবং শীত মৌসুম আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে।
টিএম