ওমিক্রন বর্তমান টিকাকে ব্যর্থ করতে পারে: মডার্না
করোনাভাইরাসের টিকার অন্যতম বৃহৎ প্রস্তুতকারক মার্কিন কোম্পানি মডার্না আগামী বছরের শুরুর দিকে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের টিকা আনার ঘোষণা দিয়েছে। রোববার মডার্না বলেছে, আগামী বছরের শুরুর দিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা প্রস্তুত করতে পারে তারা।
মডার্নার প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা পল বার্টন বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বর্তমান ভ্যাকসিনগুলোকে ফাঁকি দিতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তিনি। যদি তাই হয়, তাহলে আগামী বছরের প্রথম দিকে নতুন ফরমুলায় একটি টিকা সহজলভ্য হতে পারে।
রোববার বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শোতে অংশ নিয়ে বার্টন বলেছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে বর্তমান ভ্যাকসিনগুলো সুরক্ষা দিতে পারে কি-না, সে বিষয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের জানতে হবে।
মডার্নার এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমাদের যদি একেবারে নতুন একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে হয়, তাহলে আমি মনে করি সেটি ব্যাপক পরিমাণে সহজলভ্য হওয়ার আগে ২০২২ সালের গোড়ার দিকে আসতে পারে। মডার্নার প্ল্যাটফর্মের এমআরএনএ ভ্যাকসিনের উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, আমরা অত্যন্ত দ্রুত এগোতে পারি।’
ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক এই বায়োটেক কোম্পানি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাঙ্কসগিভিং ডের প্রথম দিকে ‘শত শত’ কর্মীকে কারখানায় জড়ো করেছে।
বার্টন বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তি কতদিন আগে টিকা নিয়েছেন সেটার ওপর নির্ভর করছে সুরক্ষা কতদিন স্থায়ী হবে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো পরামর্শ হচ্ছে, বর্তমান কোভিড-১৯ টিকাগুলোর একটি নিয়ে ফেলা।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি টিকা না নিয়ে থাকেন, তাহলে এখনই নেওয়া উচিত। এই ভাইরাসকে বিপজ্জনক মনে হচ্ছে। আমি মনে করি, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমাদের অস্ত্রাগারে অনেক অস্ত্র আছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় গত বুধবার করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ও দেশে দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির হিড়িক শুরু হয়েছে। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মডার্না বলেছে, তারা নতুন শনাক্ত ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বিদ্যমান টিকার পরীক্ষা চালাতে তড়িৎগতিতে কাজ শুরু করেছে। এই পরীক্ষায় মডার্নার দু’টি বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন এই কোম্পানি বলেছে, নতুন উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা প্রস্তুত করতে চলতি বছরের শুরুর দিক থেকেই মডার্না একটি ব্যাপক উন্নত কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করার সক্ষমতা বারবার দেখিয়েছে তারা।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।
এসএস