অ্যান্টি-ব্ল্যাসফেমি আইনের দাবি ভারতের মুসলিমদের
নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) ও অন্যান্য পবিত্র ধর্মীয় ব্যক্তিদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করতে ব্ল্যাসফেমি বিরোধী আইন প্রণয়নের দাবি তুলেছে ভারতের মুসলিমদের প্রভাবশালী সংগঠন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি)। এছাড়া অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে ভারতের অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আরোপের চেষ্টা না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
ভারতে মুসলিমদের বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মতামত দিয়ে থাকে এআইএমপিএলবি। রোববার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এআইএমপিএলবির প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে দুই দিনের এক সম্মেলন থেকে প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে বেশ কিছু দাবি তোলা হয়েছে।
দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক ও উসকানিমূলক পোস্টের লাগাম এবং দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এআইএমপিএলবি।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সম্মানিত হিন্দু, শিখ এবং অন্যান্য অমুসলিম পণ্ডিতরা নবী মোহাম্মদ (সা.) এর মাহাত্ম্য ধারাবাহিকভাবে স্বীকার করেছেন। একইভাবে ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, মুসলিমরাও অন্যান্য ধর্মের সম্মানিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপমানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।
তবে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, অতীতে কিছু দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) অবমাননা করেছেন অথচ সরকার এ ব্যাপারে কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর এ ধরনের মনোভাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে।
পবিত্র ধর্মীয় ব্যক্তিদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনকারী অপরাধীদের শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এআইএমপিএলবির ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত আইন রক্ষা কমিটির আহ্ববায়ক এস কি আর ইলিয়াস বলেছেন, এই বিষয়টি মোকাবিলার জন্য সরকারকে আইন কার্যকর করা উচিত।
এআইএমপিএলবির প্রস্তাবনায় মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) ছাড়া ধর্মীয় অন্য কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি। ভারতের ইউনিফর্ম সিভিল কোডের (ইউসিসি) বিষয়ে মুসলিমদের এই সংগঠন বলছে, ভারতের মতো ব্যাপক বহু-ধর্মীয় দেশে ইউসিসি যথার্থ অথবা উপকারী কোনো আইন নয়।
গত কয়েক বছরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিষাক্ত প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এআইএমপিএলবি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এসএস