অরুণাচলের বিতর্কিত অংশে পাকা স্থাপনা চীনের, অভিযোগ ভারতের
সীমান্তের ৬ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে চীন ৬০টি পাকা বাড়ি তৈরি করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। এক উপগ্রহ চিত্রে অরুণাচল প্রদেশের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের পাশে এ বাড়িগুলো দেখা যায়।
যদিও চীন বরাবরই এই এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করেছে। কিছু দিন আগে পেন্টাগন এ ব্যাপারে তথ্য দিলে গোটা ভারতজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। তারপর আবার এসে যুক্ত হলো অরুনাচল প্রদেশের নতুন এই উপগ্রহ চিত্র। যদিও এ ব্যাপারে চীন কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্রের খবর, অরুনাচল প্রদেশে চীনের এলাকায় রেললাইন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে জিনপিং সরকার। এ নিয়ে ইতোমধ্যেই তৎপর চীন। শি জিনপিং নিজেই খোঁজ খবর রাখছেন এ ব্যাপারে।
শোনা যাচ্ছে, বেজিং ওই প্রদেশের সীমান্তে যে এনক্লেভ তৈরি করেছে সেখানে জিনপিং সফর করতে পারেন। এ ব্যাপারে জানতে ইতোমধ্যে লিখিতভাবে চীনা ফৌজকে চিঠি পাঠিয়েছে ভারত। কিন্তু তাতে কোনো উত্তর এখনও আসেনি।
তবে এ ব্যাপারে দিল্লির কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, ভারতের কোনো জমিতে চীনের কোনো বাড়ি নির্মাণ হয়নি। ভুল খবর প্রচার করছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
এ বিষয়ে আবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। দলটির নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলেছেন, অরুনাচলে চীন কোথায় দখল করেছে সেটা দেশবাসীকে স্পষ্ট করে জানানো উচিত কেন্দ্রের।
এরইমধ্যে আবার বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এসেছে আরও একটি তথ্য, ভুটান সীমন্তে ৪টি গ্রাম তৈরি করেছে চীন। সেটা আবার ডোকালা সীমান্তের কাছে। ২০১৭ সালে ডোকালামে চীনের সঙ্গে ভারতের সেনার সংঘাত হয়েছিল। ডোকালায় পাকা সড়ক তৈরি করতে চেয়েছিল ভারতীয় ফৌজ, সেটাতে আপত্তি জানিয়েছিল চীন। তাই নিয়ে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘ সংঘাত তৈরি হয়েছিল। যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মান সরোবর যাত্রাও। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ কূটনৈতিক আলোচনার পর সমস্যা সমাধান হয়।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া
আইএসএইচ/