সাংবাদিকদের ওপর বিধিনিষেধ শিথিলে রাজি বাইডেন-জিনপিং
বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত থাকলেও সাংবাদিকদের ওপর বিধিনিষেধ শিথিলে একমত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চলতি সপ্তাহে বাইডেন ও জিনপিংয়ের বহুল প্রত্যাশিত ভার্চুয়াল বৈঠকে এই ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দু’ দেশের দুই শীর্ষ নেতা।
এই ঐকমত্যের ফলে দুই দেশের সাংবাদিকরা এখন থেকে আরও স্বাধীনভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে চলাচল করতে পারবেন। সাংবাদিকদের ভিসার মেয়াদও তিন সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে এক বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশের সরকার। প্রায়োগিক সব আইন ও নিয়মের অধীনে তাদের ভিসা বৈধ বলে বিবেচিত হবে।
তাছাড়া, সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে দেশত্যাগ ও ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুই দেশই; যা আগে সম্ভব ছিল না।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ইংরেজি দৈনিক চায়না ডেইলি তাদের সম্পাদকীয়তে দুই নেতার এই সম্মতির প্রসঙ্গে বলেছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ‘দুরূহ আলোচনার’ ফল এটি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিৃবতিতে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটি হচ্ছে একপ্রকার ‘অগ্রগতি’।
পাশাপাশি এই অগ্রগতিকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের ‘প্রাথমিক পদক্ষেপ’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বিদেশী সংবাদমাধ্যমগুলোতে চীনের সাংবাদিকদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ওই মুখাপাত্র।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে ‘বিদেশি মিশন’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে চীনা সাংবাদিকদের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিধান চালু হয়।
সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা, চীনা গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কসহ পাঁচটি চীনা সংবাদমাধ্যমকে তখন বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনও সম্পত্তি কিনতে তাদের মার্কিন সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। সেইসঙ্গে তাদের সব কর্মীর তালিকা সরকারের কাছে জমাও দিতে হবে।
সেসময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ বলে আখ্যা দিয়েছিল চীন; কিন্তু ওই ঘটনার মাস পর নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ১৩ সাংবাদিককে চীন থেকে বহিষ্কার করে দেশটির সরকার।
তবে চলতি সপ্তাহে বাইডেন-জিনপিংয়ের বৈঠকের পর বহিষ্কৃত ওই ১৩ সাংবাদিক ফের চীনে ফিরতে পারবেন কি না- তা এখনও পরিষ্কার নয়।
এসএমডব্লিউ