পুলিশের চর সন্দেহে ৪ জনকে হত্যা, মরদেহ রাখা হলো ঝুলিয়ে
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের গভীর জঙ্গলে দিন দু’য়েক আগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৬ মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়েছিলেন। মাওবাদী দমনে সাম্প্রতিক সময়ে এটি প্রতিবেশী দেশের অন্যতম বড় সাফল্য। তবে এর প্রতিশোধ হিসেবে একই পরিবারের চারজনকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা।
ভারতের আরেক রাজ্য বিহারের গয়া জেলার মউন বার জেলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতদের দু’জন নারী এবং দু’জন পুরুষ। গত শনিবার (১৩ নভেম্বর) গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। রোববার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিহারের গয়া জেলার মউন বার জেলায় একই পরিবারের ওই চারজনকে হত্যার পর দু’টি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুইটি বাড়ি উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। একইসঙ্গে বাড়ির সামনে একটি বার্তাও লিখে যায় তারা।
কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, পুলিশের চর সন্দেহে চার গ্রামবাসীকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে মাওবাদী বিদ্রোহীরা। খবর পেয়ে রোববার ঘটনাস্থলে যান বিহার পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় শুরু হয়েছে তদন্ত।
সারজু সিং ভক্ত নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে শনিবার বিস্ফোরণ ঘটে। তার আগে সেই বাড়ির বাসিন্দা একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে মাওবাদীরা। নিহতদের মধ্যে দু’জন নারীও রয়েছেন। নিহতদের নাম- সত্যেন্দ্র সিং ভক্ত, মহেন্দ্র সিং ভক্ত, মনোরমা দেবী এবং সুনীতা সিং। চারজনকে হত্যার পর দেওয়ালে বার্তাও লিখে রাখা হয়।
দেওয়ালে লেখা হয়েছে, ইতোপূর্বে ওই পরিবারের সদস্যরা ষড়যন্ত্র করে চার মাওবাদীকে হত্যা করেছিল। পুলিশকে সহযোগিতা করতে অমরেশ কুমার, সীতা কুমার, শিবপুজন কুমার এবং উদয় কুমার নামে চার মাওবাদী সদস্যকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছিল তারা।
এদিকে বিহার পুলিশের এসএসপি আদিত্য কুমার বলেন, ‘এনকাউন্টারে চার মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছিল। তার প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করা হলো। চার সাধারণ গ্রামবাসীকে হত্যার মতো কাপুরুষোচিত কাজ করল মাওবাদীরা।’
উল্লেখ্য, মাওবাদী দমনে দিন দু’য়েক আগে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। গত শনিবার মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই থেকে ৯০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের গাদচিরোলি জেলায় গভীর জঙ্গলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ২৬ মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হন।
এছাড়া নিহতদের মধ্যে শীর্ষ এক মাওবাদী নেতা রয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
টিএম