আইএসের অনুপ্রবেশকারী ধরতে তালেবানে শুদ্ধি অভিযান
নিজেদের দলের ভেতরে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান বাহিনী। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
তালেবান বাহিনীর অন্যতম মুখপাত্র আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক টেলিফোনে ব্লুমবার্গকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘আফগানিস্তানের জনগণ ও সরকারের জন্য ক্ষতিকর কোনো শক্তিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ যদি তালেবান বাহিনীর কারো বিরুদ্ধে ওঠে, সে সংগঠন বা সরকারের যত বড় পদেই থাকুক না কেন- পদ-পদবি কেড়ে নিয়ে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আমাদের অভিযান ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।’
‘তাছাড়া, আমাদের কাছে খবর এসেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় তালেবান নামধারী দুর্বৃত্তরা সাধারণ মানুষদের অত্যাচার করছে। এ ব্যাপারটিও আমাদের নজরে আছে।’
আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের আফগানিস্তান শাখা আইএস খোরাসান (আইএস-কে) সক্রিয় আছে দেশটিতে। গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ও বন্দুক হামলার মাধ্যমে আফগানিস্তানে প্রথম নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে আইএস-কে।
২৬ আগস্টের হামলায় কাবুল বিমানবন্দরে মারা গিয়েছেন প্রায় ১৭২ জন মানুষ। তাদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক সাধারণ জনগণ।
তারপর দেশের বিভিন্ন প্রদেশে আরও ৫ দফা হামলা চালিয়েছে আইএসকে। এসব হামলায় মারা গেছেন কয়েকশ মানুষ।
তালেবান ও আইএস- উভয়ই কট্টরপন্থী সুন্নি ইসলামি গোষ্ঠী হলেও কিছু ক্ষেত্রে বিরোধের কারণে উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে চরম শত্রুতা রয়েছে। তার ওপর, সাম্প্রতিক একের পর বিধ্বংসী হামলার মাধ্যমে দিন দিন তালেবান বাহিনীর সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠছে আইএস-কে।
এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সর্বশেষ হামলাটি ঘটেছে গত ২ নভেম্বর। রাজধানী কাবুলের বন্দুক হামলা চালিয়ে একজন জ্যেষ্ঠ তালেবান কমান্ডার সহ অন্তত ২০ জনকে হত্যা করেছে কয়েকজন আইএস-কে কর্মী।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের বক্তব্য, তালেবান বাহিনীর ভেতরে অনুপ্রবেশকারী না থাকলে টানা এত হামলা চালাতে পারত না আইএস।
এই বিষয়টি আমলে নিয়েই দলের ভেতর শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে তালেবান।
এসএমডব্লিউ