ডিজেলের দাম নিয়ে ধুঁকছে কলকাতাও
বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে চলছে গণপরিবহন এবং পণ্য পরিবহন ধর্মঘট। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির এই একই ইস্যু নিয়ে পরিস্থিতি খারাপ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতেও।
কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে সংকটে পড়েছে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন। মূলত ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ অবস্থার তৈরি হয়। রাস্তায় বাস ও ট্রাকের সংখ্যা কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও যাত্রীরা সময় মতো বাস পাচ্ছেন না।
বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে লাগাতার আন্দোলন করছেন বাসমালিকরা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশ্য এখনও ভাড়া বাড়ানোর কোনো ঘোষণা দেয়নি। যদিও বাসের ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।
পেট্রলের পর ডিজেলের দামও এখন পশ্চিমবঙ্গে লিটারে ১০০-এর বেশি। যদিও দাম পরে কিছুটা কমিয়েছে কেন্দ্র।
কলকাতাসহ রাজ্যে রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমেছে। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ‘রাজ্যে মোট বাস চলে ৪২ হাজারের মতো। কলকাতায় গাড়ি চলে সাড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার। এখন সেখানে ৭০ শতাংশ বন্ধ। ৩০ শতাংশ গাড়ি রাস্তায় নেমেছে। ২ বছরের ওপর ঋণ শোধ করতে পারছেন না বাসমালিকরা। বেসরকারি পরিবহন তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
যাত্রী পরিবহনের মতো একই অবস্থা পণ্য পরিবহনেও। তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে একাধিক কারণ রয়েছে এর পেছনে। ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, ‘তেলের দাম আরও কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। সারা ভারতেই পণ্য পরিবহণ কোমায় চলে গেছে। বাইরের ট্রাকগুলো বাংলাদেশ বর্ডারে আটকে রয়েছে। গাড়ির মালিক ট্রেড ব্যবসায় সরে যাচ্ছে। শুধু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহন হয়েছে লকডাউনে। এছাড়া রয়েছে পুলিশের জুলুম।
রাজ্যে ৭ লাখ ২৬ হাজার ট্রাক আছে। সেখানে ৬০ শতাংশ ট্রাক চলছে বলেও দাবি সজল ঘোষের।
এনএফ