COP26: পুতিন-জিনপিংয়ের কঠোর সমালোচনায় বাইডেন
জলবায়ু সংকট থেকে বিশ্বকে বাঁচানোর লড়াইয়ে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক কপ-২৬ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাতে দেওয়া এক ভাষণে বাইডেন কার্যত রুশ ও চীনা প্রেসিডেন্টের একহাত নেন।
বুধবার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও বিভিন্ন সংস্থার ২৫ হাজারের বেশি সদস্যের অংশগ্রহণে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় গত রোববার এই সম্মেলন শুরু হয়। তবে ওই সম্মেলনে অংশ নেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মঙ্গলবার রাতে দেওয়া ওই ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এ সংক্রান্ত সংকট মোকাবিলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলেও কপ-২৬ সম্মেলনে অংশ নেয়নি চীন। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ও পুতিনও এই একই কাজ করেছে।
বিবিসি বলছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জলবায়ু সম্মেলনে অংশ না নিলেও উভয় দেশই সেখানে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন এবং বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নেবেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, বিশ্বের মোড়ল হিসেবে চীন নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে অন্যান্য দেশগুলোর সামনে নিজেকে উপস্থাপন করছে বেইজিং। কিন্তু জলবায়ু সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি ‘একটি বড় ভুল’।
এদিন রুশ প্রেসিডেন্টের সমালোচনায়ও মুখর হন জো বাইডেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার বনাঞ্চলগুলো পুড়ছে এবং সেসব বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ‘নিশ্চুপ রয়েছেন’।
বিশ্বের সবগুলো দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হচ্ছে চীন। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এখন স্পষ্ট। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে নিয়মিত ভাবে দাবদাহ, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও।
এই পরিস্থিতিতে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে রুশ ও চীনা প্রেসিডেন্টের অংশ না নেওয়ার ফলে সংকট আরও গভীর হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
টিএম