শতাধিক তরুণকে হত্যা করেছে টাইগ্রে বিদ্রোহীরা
পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার সরকার বলছে, ব্যাপক বিবাদপূর্ণ টাইগ্রে অঞ্চলে শতাধিক তরুণকে হত্যা করেছে টাইগ্রে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহী গোষ্ঠী টাইগ্রে পিউপিল’স লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) নিয়ন্ত্রণাধীন কমবোলচা শহরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেশটির সরকারের যোগাযোগ সেবা বিভাগের এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী টিপিএলএফের সদস্যরা কমবোলচায় অনুপ্রবেশ করেছে। পরে সেখানকার শতাধিক তরুণকে হত্যা করেছে তারা। এমন নৃশংসতার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ বন্ধ রাখা উচিত নয়।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানায়নি দেশটি। তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য জানতে ফোন করা হলেও ইথিওপিয়ার সরকারের মুখপাত্র লেগেসে তুলু সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এছাড়া ওই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে টাইগ্রে পিউপিল’স লিবারেশন ফ্রন্টের মুখপাত্র গেটাচিউ রেডার মন্তব্যও পাওয়া যায়নি।
কমবোলচা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে উত্তরাঞ্চলীয় টাইগ্রে রাজ্যের বিদ্রোহীরা পার্শ্ববর্তী আমহারার আরও কয়েকটি শহর দখল নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
টাইগ্রে অঞ্চলে এক বছরের বেশি সময় ধরে এই সরকারি বাহিনীর সাথে টিপিএলএফ বিদ্রোহীদের সংঘাত চলছে। যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে উভয়পক্ষের প্রতি অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া মেলেনি। যে কারণে সেখানে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
টিপিএলএফ বলছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়াই তাদের লক্ষ্য। রোববার এক বিবৃতিতে আবি বলেছেন, বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি সব ধরনের অস্ত্র এবং শক্তি বৈধ উপায়ে ব্যবহার করে সংগঠিত এবং অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী টিপিএলএফকে প্রতিরোধ, ধ্বংস এবং কবর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।
এসএস