আবহাওয়া বিপর্যয়ে ২০ বছরে ৫ লাখ প্রাণহানি
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিগত ২০ বছরে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর অবস্থা আরও শোচনীয় হচ্ছে দিন দিন।
মানবতার জন্য বৈশ্বিক উষ্ণতার হুমকি সংক্রান্ত নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ঝড়, বন্যা ও দাবদাহের মতো জলবায়ু সংক্রান্ত বিপর্যয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর এই ভার বহন করছে মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলো।
সোমবার ‘ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন সামিট’ শুরুর আগে জার্মানওয়াচ নামে এক থিংকট্যাংকের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, একবিংশ শতাব্দীর প্রথম বিশ বছরে এসব বিপর্যয়ে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ ২.৫৬ ট্রিলিয়ন ডলার।
জার্মানওয়াচ নামের ওই থিংকট্যাংক জানাচ্ছে, ২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চরম আবহাওয়া বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট এগারো হাজারের বেশি দুর্যোগ বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এতে প্রাণহানির সংখ্যা ৪ লাখ ৮০ হাজার।
আল-জাজিরা জার্মানওয়াচের বরাতে জানিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে গত বিশ বছরে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো হলো মিয়ানমার, পুয়ের্তো রিকো এবং হাইতি।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির লাগাম টানার জন্য প্রতি বছর উন্নত দেশগুলোর গরিব দেশগুলো একশ বিলয়ন ডলার দেওয়ার কথা।
কিন্তু সম্প্রতি হওয়া এ সংক্রান্ত এক গবেষণা দেখা যাচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতিশ্রত অর্থ সহায়তার চেয়ে অনেক কম অর্থ দিয়েছে ধনী দেশগুলো।
জার্মানওয়াচের করা বৈশ্বিক জলবায়ু সূচকে বিগত দুই দশকের চরম আবহাওয়া বিপর্যয়ে সৃষ্ট দুর্যোগগুলোকে, বিশেষ করে ২০১৯ সালে সংঘঠিত ঝড়গুলোকে নেওয়া হয়েছে।
এসব বিপর্যয়ে ক্যারিবীয় অঞ্চল, পূর্ব আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বিশাল অংশ ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিল।
জার্মানওয়াচের ওই গবেষণার সহ-লেখক ডেভিড একস্টেইন বলছেন, ‘দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো যে চরম আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়ের পরিণতি মোকাবিলায় মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এতে তা প্রমাণিত।’
এএস