পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই বাচ্চা ফোটাল শকুন
কোনো পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই বাচ্চা ফুটিয়েছে বিরল প্রজাতির দু’টি শকুন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ওই অতি বিপন্ন প্রজাতির শকুন দু’টি কোনো পুরুষ জেনেটিক ডিএনএ ছাড়াই বাচ্চার জন্ম দেয়। গত শনিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কোনো পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই সন্তান জন্ম দেওয়া বা বাচ্চা ফোটানোর বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্থেনোজেনেসিস (যৌনসংসর্গ ব্যতীত সন্তান জন্ম) বা অযৌন প্রজনন নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। ক্যালিফোর্নিয়ার বিরল প্রজাতির ওই দু’টি শকুনের এই সক্ষমতায় কার্যত বিস্মিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিবিসি বলছে, পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই সন্তান জন্ম দেওয়াকে ‘ভার্জিন বার্থ’ও বলা হয়ে থাকে। শকুনের এই প্রজাতির পাশাপাশি টিকটিকি, সাপ, হাঙর এবং রেইস মাছসহ আরও বেশ কয়েকটি মাছ কোনো পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই সন্তান জন্ম দিতে পারে বলে দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিরল প্রজাতির শকুনটি ক্যালিফোর্নিয়া কনডোর নামে পরিচিত। এটি মূলত এক ধরনের বড় আকারের শকুন এবং একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যতম বিরল প্রজাতির পাখি। এটি কেবল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাসবাস করে থাকে।
বিবিসি বলছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং মেক্সিকোতে এই প্রজাতির মাত্র প্রায় ৫০০টি শকুন অবশিষ্ট রয়েছে।
অবাধ শিকার, পরিবেশ দূষণ ও অন্যান্য কারণে কনডোর শকুনের সংখ্যা বিংশ শতাব্দীতে নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। অন্যান্য শকুনের মতো এদেরও আঁকড়ির মতো বাঁকানো ধারালো ঠোঁট রয়েছে। লম্বা ধারালো নখযুক্ত পা বেশ শক্তিশালী।
কনডোর সাধারণত প্রাণীর মৃতদেহ খাবার হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। তবে মাঝে মধ্যে জীবন্ত শিকারও ধরে এরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। কনডোর শকুন দুই প্রজাতির হয়ে থাকে। যার একটি ক্যালিফোর্নিয়া কনডোর ও অন্যটি অ্যানডিয়ান কনডোর।
১৯৮০-র দশকে পৃথিবীতে ক্যালিফোর্নিয়া কনডোরের সংখ্যা ছিল দুই ডজনেরও কম। কিন্তু এরপরই তাদের সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয় এবং এর ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সংখ্যা বেশ ভালো পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
টিএম