‘আমার কিছু হলে একদম কাঁদবে না’, মৃত্যুর আগে রাহুলকে ইন্দিরা
৩১ অক্টোবর ভারতের ইতিহাসে কালো দিন। ৩৭ বছর আগে এই দিনে দেহরক্ষীর হাতে নিহত হয়েছিলেন ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
রোববার (৩১ অক্টোবর) ইন্দিরার ৩৭তম মৃত্যুদিবসে আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন নাতি রাহুল গান্ধী। ঠাকুমার স্মৃতি ঘিরে ধরল তাকে। ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন কংগ্রেসের এই সাংসদ। সেই ভিডিওতে ইন্দিরার মৃত্যুকে জীবনের দ্বিতীয় সবচেয়ে কঠিন দিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
রাহুল বলেছেন, সেদিন সকালে মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমার কিছু হয়ে গেলে একদম কাঁদবে না। আমি তখন এর মানে বুঝতে পারিনি। তার ঠিক দু-তিন ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়।
সেদিনের কথা বলতে বলতে গলা ধরে আসে রাহুলের। তিনি আরও বলেন, ঠাকুমা বুঝতে পেরেছিলেন তাকে হত্যা করা হবে। আমার মনে হয় অনেকেই সেটা বুঝতে পেরেছিলেন। একবার ডিনার টেবিলে আমাদের তিনি বলেছিলেন, রোগে মৃত্যু সবচেয়ে বড় অভিশাপ।
ঠাকুমার কথা বলতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন রাহুল। তিনি ইন্দিরা সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেন। রাহুল বলেছেন, আমার দুটো মা। ঠাকুমা ছিলেন সুপার মা, কারণ বাবা রেগে গেলে আমাকে বাঁচাতেন। আর আমার মা। ঠাকুমাকে হারানো মা-কে হারানোরই সমান।
ভিডিওতে ইন্দিরা গান্ধীর শেষযাত্রা এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দৃশ্য রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট রাহুল ঠাকুমার মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত।
উল্লেখ্য, রোববার শক্তি স্থলে ইন্দিরার স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ দেন রাহুল। এরপর হিন্দিতে টুইট করে লেখেন, আমার ঠাকুমা অকুতোভয় হয়ে দেশের সেবা করেছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। তার জীবন আমাদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। নারীশক্তির বিরাট দৃষ্টান্ত, তার শহিদ দিবসে ইন্দিরা গান্ধীকে বিনীত শ্রদ্ধা জানাই।
এইচকে