COP26 : ধরিত্রী বাঁচাতে গ্লাসগোতে মিলছেন বিশ্বনেতারা
জলবায়ু সংকট থেকে বিশ্বকে বাঁচানোর লড়াইয়ে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে বহুল প্রতীক্ষিত জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ-২৬) শুরু হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও বিভিন্ন সংস্থার ২৫ হাজারের বেশি সদস্যের অংশগ্রহণে রোববার এই সম্মেলন শুরু হচ্ছে।
আগামী ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক শিল্প যুগের চেয়ে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও জাতিসংঘ বলছে, বর্তমানে আমরা ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পথে রয়েছি; যা জলবায়ু বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক বছর পিছিয়ে শুরু হওয়া কপ-২৬ এর এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব না হলে মানবজাতির জন্য ‘ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়’ অপেক্ষা করছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
তারা বলেছেন, জাতিসংঘের ওই লক্ষ্য অর্জনে এবারের সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিশ্ব নেতাদের আরও উচ্চাভিলাষী প্রতিশ্রুতি, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিল অনুমোদন এবং ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রায় ২০০ দেশকে সেই চুক্তির বাস্তবায়ন দরকার।
সম্মেলন শুরুর আগে কপ-২৬ এর এবারের প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা বিবিসির অ্যান্ড্রু মারকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশাল এক চ্যালেঞ্জ; যা আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করছি। বিশ্বকে একত্রিত হওয়া দরকার এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত করার জন্য আমরা যে কিছু করছি, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের কপ প্যারিস সম্মেলনের পর থেকে অগ্রগতি হয়েছে। ওই সময় বিশ্বের সব দেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ও ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রির নিচে এবং আদর্শিকভাবে তা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে দেড় ডিগ্রিতে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তিতে সাক্ষর করেছিল।
সম্প্রতি জাতিসংঘ বলেছে, আমরা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ দশমিক ৭ ডিগ্রির ধারায় রয়েছি। কিন্তু কপ-২৬ এর প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা বলেছেন, আমরা সেটিকে দেড় ডিগ্রিতে নামিয়ে আনার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে এবারের সম্মেলনকে ব্যব্হার করতে চাই।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে তাপদাহ, বন্যা ও দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে মানুষের বাড়ির বাইরের কর্মঘণ্টা কার্যকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর এতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে মানুষ।
এসএস