থিসিস চুরি, ফেঁসে যাচ্ছেন লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন নিজের থিসিসের তিন-চতুর্থাংশই অন্যের লেখা থেকে চুরি করেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জাভিয়ার বেটেল। থিসিস চুরির বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর বুধবার লুক্সেমবার্গের এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার ভিন্নভাবে কাজ করা উচিত ছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রিপোর্টারডটএলইউ’র দাবি, গত ৮ বছর ধরে লুক্সেমবার্গের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল নেতা জাভিয়ার বেটেল ফ্রান্সের ইউনিভার্সিটি অব ন্যান্সিতে পড়ার সময় ১৯৯৯ সালে তার থিসিসের তিন-চতুর্থাংশই চুরি করেছিলেন।
৪৮ বছর বয়সী বেটেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, থিসিসটি ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে করা হয়েছিল এবং পরিষ্কার বিবেকবোধের সাথে এটি লেখা হয়েছিল। আজ আমি স্বীকার করছি যে, হ্যাঁ, সম্ভবত আমি এটি ভিন্নভাবে করতে পারতাম। আমার এটি ভিন্নভাবে করা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, কাজটি মানসম্মতভাবে করা হয়েছে কি-না সেটি নির্ধারণ করা পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে তিনি স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।
এক বিবৃতিতে ইউনিভার্সিটি অব ন্যান্সি বলেছে, বেটেলের এই কাজে সততার গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে এবং তারা এটি নিয়ে তদন্ত করবে। বেটেলের সেই থিসিসের বিষয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কি-না, সেই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বেটেলের কাজ আনুষ্ঠানিক কোনও থিসিস ছিল না। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানের অ্যান্টি-প্ল্যাজিয়ারিজম সফ্টওয়্যারও ছিল না।
ইউরোপীয় প্রভাবশালী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির ঘটনা নতুন নয়। এর আগে, একই ধরনের অভিযোগে প্রতিবেশি জার্মানির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন।
অতি-সম্প্রতি জার্মানির পরিবারবিষয়ক মন্ত্রী ফ্রানজিসকা জিফির বিরুদ্ধে লেখা চুরির অভিযোগ উঠেছিল। পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভ নকল করার অভিযোগে গত মে মাসে পদত্যাগ করেন তিনি।
রিপোর্টারডটএলইউ বলছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে বেটেলের ৫৬ পৃষ্ঠার থিসিসে দু’টি বই, চারটি ওয়েবসাইট এবং একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে নেওয়া লেখা যুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর লেখা কেলেঙ্কারির এই ঘটনা ৬ লাখ মানুষের লুক্সেমবার্গের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে।
সূত্র: এএফপি।
এসএস