করোনার লাগামহীন বিস্তার, চীনের এক শহরে লকডাউন
করোনাভাইরাসের স্থানীয় সংক্রমণের লাগাম টানতে ৪০ লাখ মানুষের একটি শহরে লকডাউন জারি করেছে চীন। মঙ্গলবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্যাংসু প্রদেশের রাজধানী ল্যানঝুতে এই লকডাউন জারি করা হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনও বাসিন্দাই বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের নতুন করে আরও ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র গ্যাংসুর রাজধানী ল্যানঝুতে ছয়জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
ল্যানঝুর কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রাদেশিক রাজধানীতে বাসিন্দাদের প্রবেশ এবং প্রস্থান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। তবে বাসিন্দাদের জরুরি খাদ্যপণ্য এবং ওষুধ সামগ্রীর সীমিত সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।
এক বিবৃতিতে ল্যানঝু কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘সব ধরনের আবাসিক জনগোষ্ঠীকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’ চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের আরেকটি শহরে করোনার বিস্তার রোধে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের কয়েকদিন পর ল্যানঝুতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
পর্যটন এলাকায় মানুষের যাতায়াত সীমিত করার পাশাপাশি বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত শহর না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চীনে সম্প্রতি নতুন করে করোনার যে প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে; তাতে এই ভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য দেখা গেছে। গত এক সপ্তাহে দেশটিতে করোনার অতি-সংক্রামক এই ধরনে শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে পরীক্ষা বৃদ্ধি করায় আগামী কয়েক দিনে সংক্রমণ আরও বেশি শনাক্ত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বজুড়ে মহামারি ডেকে আনা এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালালেও চীন তা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়। বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, চীনে প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের।
সূত্র: এএফপি।
এসএস