৭৬ শতাংশ মানুষকে টিকার পূর্ণ ডোজ দিয়েছে চীন
চীনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশকে করোনাভাইরাসের টিকার পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে টিকার পূর্ণ ডোজের আওতায় আনা হয়েছে জানিয়ে রোববার এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং।
বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেং বলেছেন, চীনের মোট ১৪১ কোটি ২০ লাখ মানুষের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০৬ কোটি ৮০ লাখ জনকে টিকার প্রয়োজনীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকার ২২৪ কোটি ৫০ লাখ ডোজ প্রয়োগ করেছে চীন।
প্রয়োজনীয় কর্মী, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার লোকজনসহ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর যে পূর্ণবয়স্ক সদস্যরা সর্বশেষ ছয় মাস আগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন; চীন বর্তমানে তাদের বুস্টার ডোজ দিচ্ছে। সরকারি তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, দেশটিতে ব্যাপক ব্যবহৃত সিনোভ্যাক এবং সিনোফার্মের টিকার অ্যান্টিবডি কয়েক মাসের মধ্যে হ্রাস পাচ্ছে।
চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিসিডিসিপি) টিকাদান কর্মসূচির প্রধান বিশেষজ্ঞ ওয়াং হুয়াকিং বলেছেন, চীন লোকজনকে বুস্টার ডোজের পর বুস্টার ডোজ দেবে না।
তিনি বলেন, ‘একটি আদর্শ ভ্যাকসিন পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে বলে আমরা আশা করছি। যদি পরবর্তীতে এই ভ্যাকসিনকে আরও শক্তিশালী করতে হয়, তারপরও বুস্টার ডোজ সীমিত করা হবে।’
ওয়াং বলেন, আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে জনসাধারণের মধ্যে দৃঢ় সুরক্ষাবলয় তৈরির জন্য আরও ভালো টিকা এবং ভালো টিকাদানের পদ্ধতি আসবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের স্থানীয় প্রাদুর্ভাব এবং দেশের বেশিরভাগ এলাকায় এর লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছে চীন।
তবে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, চীনের সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব আরও বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। দেশের ১১ প্রদেশে এক সপ্তাহে শতাধিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এটি আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস