বাড়তে বাড়তে ছয় ফুট ছাড়িয়েছিল পাকিস্তানি তরুণী জাহাব খানের চুল
সর্বশেষ ১৩ বছর বয়সে চুল কেটেছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তরুণী জাহাব খান। বর্তমানে তার বয়স ৩১ বছর। এই ১৮ বছরে একটি বারের জন্যও চুলে কাঁচি স্পর্শ করেননি জাহাব। ফলে লম্বা হতে হতে তার চুলের দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ১৯০ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি।
তবে দীর্ঘ দেড় যুগ পর এসে কেটে ফেলেছেন সেই লম্বা চুল। শুধু তাই নয়, শিশুদের প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য দানও করেছেন কেটে ফেলা সেই চুল। আর এ উদ্যোগই তাকে বৈশ্বিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। সবচেয়ে লম্বা চুল দান করার বিশ্ব রেকর্ড এখন জাহাব খানের দখলে। অর্থাৎ তার আগে আর কেউ এতো লম্বা চুল দান করেননি।
গত মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। ওয়েবসাইটে সংস্থাটি জানিয়েছে, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ৩১ বছর বয়সী জাহাব খান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা। পাকিস্তানি পেশাদার এই স্কোয়াশ খেলোয়াড় ‘সবচেয়ে লম্বা চুলের অ্যাথলেট’ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।
তবে নিজের এই চুলকে মহৎ একটি কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন জাহাব খান। সেই অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর প্রথমবারের মতো চলতি বছরের ২৬ আগস্ট একজন হেয়ার ড্রেসারের কাছে যান তিনি। এসময় তার মাথা থেকে ১৫৫ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট ১ ইঞ্চি চুল কেটে ফেলেন নরসুন্দর গ্রেগরি হোয়াইট।
পরে কেটে ফেলা সেই চুল জাহাব খান শিশুদের কল্যাণে দান করেন। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে যেসব শিশু মাথার চুল হারিয়েছে, তাদের বিনা মূল্যে চুল প্রতিস্থাপনে ব্যবহার করা হবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই স্কোয়াশ খেলোয়াড়ের দান। আর এর মাধ্যমেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠে গেছে জাহাবের।
অবশ্য অনেক ভালোবাসার ও আবেগের এই চুল দান করতে পেরে যথেষ্ট খুশি জাহাব খান। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলছেন, ‘চুল কাটার আগে আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম। শিশুদেরকে আমার চুল দান করতে পেরে আমি খুবই খুশি এবং এটিই আমাকে (চুল কাটার) সিদ্ধান্ত নিতে শক্তি দিয়েছে।’
এছাড়া চুল কেটে ছোট করার পরও বেশ আনন্দিত জাহাব। ৬ ফুট লম্বা চুল কেটে এখন সেটিকে কাঁধ বরাবর লম্বা রেখেছেন তিনি।
টিএম