পাকিস্তানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো জিন্নাহর মূর্তি
পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের বন্দর নগর গাওদারে দেশটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মূর্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেখানকার স্বাধীনতাকামী দল বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বিবিসি উর্দুর বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডন।
গাওদারের ডেপুটি কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল কবির খান বিবিসি উর্দুকে জানান, মূর্তির বিভিন্ন অংশে আগেই বিস্ফোরক স্থাপন করেছিল দুষ্কৃতিকারীরা। সোমবার ভোরের দিকে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে।
গাওদারে জিন্নাহর মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল চলতি বছর শুরুর দিকে। বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া দল বালুচ লিবারেশন আর্মি ইতোমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
তবে সুনির্দিষ্টভাবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি। সিসিটিভির ফুটেজে যদিও যদিও রোববার কয়েকজন মুখোশধারী ব্যক্তিকে মুর্তির আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে, কিন্তু কারোর চেহারা বোঝা যায়নি।
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে আবদুল কবির খান জানিয়েছেন, দ্রুত দুস্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বেলুচিস্তানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমানে পাকিস্তান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য সরফরাজ বুগতি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘কায়েদে আজমের (জিন্নাহর উপাধি) মূর্তি গুঁড়িয়ে দেওয়ার অর্থ পাকিস্তান রাষ্ট্রের মতাদর্শের ওপর আঘাত করা। আমি অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও যথাযথ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগে গত বছর বেলুচিস্তানের জিয়ারত শহরে জিন্নাহর বাসভবন কায়েদে আজম রেসিডেন্সে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল বিএলএ। ১২১ বছরের পুরনো সেই ভবনটিতে নিজের জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছিলেন জিন্নাহ। হামলার আগ পর্যন্ত ভবনটি একটি জাতীয় স্মৃতিচিহ্ন বা মনুমেন্ট হিসেবে স্বীকৃত ছিল।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে বেলুচিস্তানে তীব্র হয়ে উঠেছে স্বাধীনতাপন্থি ও দেশটির সরকারের মধ্যকার সংঘাত। সম্প্রতি গাওদারে একটি চীনা গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে বিএলএ। হামলায় দুই শিশু এবং এক চীনা নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এসএমডব্লিউ