মুম্বাইয়ে বসবাসরত ‘বাইডেনদের’ নথি হাতে হোয়াইট হাউসে মোদি
দ্বিপক্ষিক বৈঠকে ভারতে বসবাসরত ‘বাইডেনদের’ সম্পর্কে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জিজ্ঞেস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জবাবে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এ বিষয়ক তথ্য উপাত্ত নিয়েই হোয়াইট হাউসে এসেছেন তিনি।
অবশ্য গোটা ব্যাপারটিই ছিল হাস্য-পরিহাস। শুক্রবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরুর আগে হাল্কা হাস্য-রসিকতা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে।
কোয়াড বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি। সেই বৈঠক শুরুর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সূচি ছিল তার।
সেই অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদি হোয়াইট হাউসে উপস্থিত হলে তাকে স্বাগত জানান জো বাইডেন। দু’জনে দু’টি চেয়ারে পাশাপাশি বসার পরে বাইডেন বলেন, ‘আজ যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বসেছেন, সেখানে রোজই আমাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট বসেন। যিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তার মা অত্যন্ত নামকরা বৈজ্ঞানিক।’
‘১৯৭২ সালে আমি যখন প্রথমবার সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হলাম, আমার বয়স তখন মাত্র ২৮ বছর। নির্বাচিত হওয়ার পরপরই আমি মুম্বাই থেকে একটি চিঠি পেলাম। যিনি চিঠিটি লিখেছিলেন, তার নামও বাইডেন।’
‘আমি পরে আর এ ব্যাপারে তেমন খোঁজ-খবর নিতে পারিনি, তবে পরের দিন সংবাদ সম্মেলনে একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাল, ভারতে ৫ জন বাইডেন আছে।’
বাইডেনের কথার এ পর্যায়ে হেসে ফেলেন মোদি। বাইডেন বলে যেতে থাকেন, ‘এর আগে একবার কৌতুকছলে আমি বলেছিলাম, ‘জর্জ বাইডেন নামে এক ব্যক্তির নাম আমি জানতে পেরেছি, যিনি ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে একটি ভারতীয় চা কোম্পানির ক্যাপ্টেন ছিলেন এবং একজন ভারতীয় নারীকে বিয়ে করে সেখানেই স্থায়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে তার ব্যাপারে আর বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি।’
‘আমার মনে হয় আমাদের এবারের বৈঠকে সেই রহস্যের একটা কিনারা হবে।’ বাইডেন এ কথা বলার পরই কিছু কাগজপত্র তার দিকে এগিয়ে দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আপনি ভারতে বাইডেন পদবিধারীদের ব্যাপারে জানতে এর আগেও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সেটি আমার মনে আছে। আমি চেষ্টা করেছি এ বিষয়ক তথ্য জোগাড় করতে এবং কিছু তথ্য পেয়েছিও। সেগুলো আপনাকে দেওয়ার জন্য সঙ্গে করে এনেছি।’
এরপর সহাস্যে বাইডেন মোদিকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমরা কি তাহলে সম্পর্কিত?’ মোদিও হেসে জবাব দেন, ‘নিশ্চয়।’
সূত্র : এনডিটিভি।
এসএমডব্লিউ