কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প অস্ট্রেলিয়াতে
বিষাক্ত বন্যপ্রাণী আর দাবানল অস্ট্রেলিয়ার মানুষের কাছে সুপরিচিত হলেও ভূমিকম্পের সঙ্গে তারা খুব একটা অভ্যস্ত নন। আর সে কারণেই স্থানীয় সময় বুধবার সকালে ভিক্টোরিয়াতে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর লাখো অস্ট্রেলিয়ান আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় জনবহুল শহর মেলবোর্ন থেকে ১৩০ মাইল দূরের একটি শহর। ভূমিকম্পে মেলবোর্নের ভবনগুলো কেঁপে ওঠে। অন্তত একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো ভবন ধসে পড়েনি। আর এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর নেই। সিডনি এবং ক্যানবেরাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হাতে তখন দেশটির একটি টিভি চ্যানেলে সরাসরি একটি অনুষ্ঠান চলছিল। ভূমিকম্পের সময় ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপককে আতঙ্কিত হয়ে পড়তে দেখা যায়। ভূমিকম্পের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহু মানুষ এ নিয়ে পোস্ট দেন।
এ ভূমিকম্পকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে তা এর মাত্রা বিবেচনায় নয়। অস্ট্রেলিয়াতে ভূমিকম্প বিরল ঘটনা বলেই এ ভূমিকম্প নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। শক্তিশালী ভূমিকম্প দেশটিতে একেবারেই বিরল, সেটি যদিও হয় সেটিও দেশটির উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বহুদূরেই হয়ে থাকে।
অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরে উৎপত্তি লাভ করা ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.৬। তবে জনবিরল এলাকায় হওয়ায় ওই ভূমিকম্পে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়েছিল না।
তবে এর পরের বছরই নিউ সাউথ ওয়েলসে একটি ভূমিকম্পে ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
গত কয়েকদিন ধরেই লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ চলছে মেলবোর্নে। তার মধ্যেই এবারে সেখানে প্রাকৃতির এই দুর্যোগ হানা দিল। এছাড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউও চলছে মেলবোর্নে। গত আগস্টে সেখানে যে পরিমাণ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছিল বর্তমান সংখ্যা তার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এসব কারণে এ ভূমিকম্পকে অশুভ লক্ষণ আখ্যা দিয়ে টুইটও করছেন অনেকে, বিশেষ করে ভিক্টোরিয়ার লোকেরা এ ধরনের টুইট বেশি করছেন।
সূত্র : সিনেট।
এনএফ